বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল নগরীতে আবারও বিকাশ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছে এক শিক্ষার্থী। এবার উপবৃত্তির পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলে অভিনব পন্থায় শিক্ষার্থীর ২৫ হাজার ৫শত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আমির কুটির এলাকায় গত ১৪ মার্চ সকালে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ওইদিনই কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন প্রতারনার শিকার নদিয়া আক্তার নামের ওই শিক্ষার্থী। যার নম্বর-৭২১। তিনি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া গ্রামের আলমগির হোসেনের মেয়ে এবং দুমকি জনতা কলেজের বিবিএস ৩য় বর্ষের ছাত্রী। সে নগরীর আমির কুটির এলাকার বসবাস করে আসছেন। এ বিকাশ প্রতারক চক্রটির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারোর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। কলেজ ছাত্রী জানিয়েছেন, ‘তিনি ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের ছাত্রী (রোল নম্বর-৩০৪, রেজি: নম্বর (১৫১০৪০৩০৮৯৬)। তিনিসহ তাদের বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী গত দুই বছর ধরে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। হঠাৎ করে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ০১৮২৮-৫৮৮৪৯৬ এবং ০১৮৮৮-৫৩৩৯৯১ নম্বর থেকে দুই দফা ফোন করে। এসময় শিক্ষা অফিসার পরিচয় দেয়া ব্যক্তি কলেজ ছাত্রীর নাম-রোল এবং রেজিষ্ট্রেশন নম্বর জানিয়ে তার পাওনা দুই বছরের উপবৃত্তির টাকা পরিশোধ করা হবে বলে জানায়।
এজন্য তাকে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে পাঠাতে বলে। ওই টাকা পাঠালে সে দুই বছরের ১০ হাজার ২শত টাকাসহ মোট ৩৫ হাজার ৭শত টাকা পাবে বলে জানায়। ওই টাকা পাওয়ার জন্য তাকে একটি গোপন কোড নম্বর (২৫৫০০) দেয়। শিক্ষা কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া ব্যক্তির কথামতো বিকাশ এজেন্টের কাছে গিয়ে গোপন নম্বর টিপে ০১৮৫২-৮৮৩৬৬৪ ডায়েল করা মাত্রই এজেন্টের একাউন্ট থেকে ২৫ হাজার ৫শত টাকা কেটে নিয়ে যায়।
ছাত্রী জানান, টাকা পাঠানোর পর থেকেই বন্ধ হয়ে প্রতারক চক্রের নম্বর দুটি। একাধিকবার কল দেয়ার পরেও যখন নম্বরটি বন্ধ পান তখন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারনার শিকার হয়েছে। এর পর পরই ওই ছাত্রী আইনী সহায়তা পেতে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ওই ডায়েরী তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এএসআই সিদ্দিককে। প্রতারণার শিকার ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ধারনা চক্রটির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত রয়েছেন।
কেননা প্রতারক চক্রটি আমার নাম-রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর হুবহু বলেছে। এমনকি আমাদের বৃত্তি পাওনা রয়েছে সেটাও সে বলেছে। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা আমাদের সংশ্লিষ্ট কলেজ ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীতের গ্রেফতারের দাবি জানান ওই শিক্ষার্থী। এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এরই মধ্যে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রতারক চক্রটি সনাক্ত করণের চেষ্টা চলছে। অচিরেই চক্রটিকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply